বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার পর, শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগত মাইলফলকগুলির মধ্যে একটি হল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে। এই ভর্তি পরীক্ষার গুরুত্ব তাদের যোগ্যতা, জ্ঞান এবং প্রস্তুতির ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবী প্রার্থীদের নির্বাচন করার ক্ষমতার মধ্যে নিহিত। Dhaka University, Buet এবং Medical Collegeমতো নামীদামী প্রতিষ্ঠানে সীমিত আসন থাকায় প্রতিযোগিতা অত্যন্ত তীব্র। ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা মাস কয়েক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে, প্রায়শই সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য বিশেষায়িত কোচিং গ্রহণ করে। পরীক্ষাটি কেবল পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের মতো এইচএসসি বিষয়গুলিতে তাদের দখল মূল্যায়ন করে না বরং তাদের সময় ব্যবস্থাপনা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও পরিমাপ করে। এই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অনুষদ এবং প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান-সম্পর্কিত অনুষদগুলি মূল বিজ্ঞান বিষয়গুলির বহুনির্বাচনী এবং লিখিত প্রশ্নের উপর জোর দেয়, অন্যদিকে কলা ও বাণিজ্য অনুষদগুলি ভাষা, সাধারণ জ্ঞান এবং বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতার উপর জোর দেয়। মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং Admision Test বিশেষ করে কঠোর, প্রায়শই বহুনির্বাচনী
প্রশ্ন MCQযার মধ্যে সঠিকতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য নেতিবাচক মার্কিং থাকে। প্রশ্নগুলির কাঠামো মুখস্থ করার পরিবর্তে ধারণাগুলির গভীর বোধগম্যতা পরীক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য একটি সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সামগ্রিকভাবে, এইচএসসি-পরবর্তী Admission Test বাংলাদেশে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা এবং ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের সুযোগের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে।